পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুমানিক এক লক্ষ ছেলেমেয়েকে ব্যবসায়ীক উদ্যোগে ঋন বাবদ 2 লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্যের জন্য একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন, যার নাম দিলেন "কর্মসাথী" প্রকল্প।
কর্মহীন নবীররা যাতে ছোটো মাপের ব্যবসা চালু করতে পারে সেই জন্যই এই "কর্মসাথী" প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এই প্রকল্পের প্রস্তাব করেছেন 2020 -র রাজ্য বাজেটে। কর্মহীন তরুনরা যাতে সহজ প্রক্রিয়ায় ঋন নিয়ে ব্যবসা করে সাবলম্বি হতে পারে তার সুযোগ দেওয়া হবে "কর্মসাথী" প্রকল্পে।
পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করার জন্য এই প্রকল্পের শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রতি বছর 1 লক্ষ ছেলেমেয়েকে স্বনির্ভর করা হবে, তাই "কর্মসাথী" প্রকল্পের জন্য 500 (পাঁচ শো কোটি) কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
শর্তাবলীঃ-
* পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম অথবা শহর, যে কোনো জায়গার বেকার ছেলে মেয়ে যদি সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয় তাহলে এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবে।
* এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে যদি আগে থেকে নাম লেখানো থাকে তাহলে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে।
* যে কোনো পরিবার থেকে শুধু মাত্র একজন ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন।
* ঋন পেতে ন্যুনতম অষ্টম শ্রেণি পাশ যোগ্যতার প্রয়োজন।
* কর্মসাথী প্রকল্পে ঋন পেতে বয়স সীমা হতে হবে 18 থেকে 50 বছরের মধ্যে। অর্থাৎ 18 থেকে 50 বছরের মধ্যে যাদের বয়স তারাই আবেদন করতে পারবেন।
* আবেদনকারীকেই প্রকল্প মূল্যের 5 থেকে 10 শতাংশ টাকা জোগাড় করতে হবে।
* 50 হাজার টাকা পর্যন্ত ঋন পেতে 5 শতাংশ অর্থের সংস্থান করতে হবে আবেদনকারীকে।
* 50 হাজার থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋনের জন্য সেই টাকার 10 শতাংশ জোগাড় করতে হবে আবেদনকারীকে।
যে ডকুমেন্টসগুলি প্রয়োজন ঃ-
(1) পরিচয়ের প্রমান (ছবিসহ)
(2) স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট
(3) শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমান
(4) বয়সের উপযুক্ত প্রমান পত্র
(5) SC/ST/OBC বা কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে তার শংসাপত্র
(6) প্রকল্পের রির্পোট
আবেদন পত্র জমা করার স্থানঃঃ-
(1) গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ক্ষেত্রে বি ডি ও অফিসে আবেদনপত্র জমা করতে হবে।
(2) জেলার পুরসভা এলাকার ক্ষেত্রে এস ডি ও অফিসে জমা করতে হবে।
(3) রাজ্যের মহকুমা এলাকার ক্ষেত্রে কলকাতা পৌরসভায় জমা করতে হবে।
(4) অনলাইন এবং অফলাইনে আবেদন করা যাবে।
আরও জানতে ভিডিওটি দেখুন ঃঃ - 👇
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন